মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন বাবুগঞ্জ উপজেলার ধুমচর গ্রাম ও কাউনিয়া থানার আমিরগঞ্জ বাজারে চলছে মাদক ও জুয়ার রমরমা আসর। একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠি দীর্ঘদিন যাবত জুয়া ও মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ পরিচালনা করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সচেতন মহল।
এবিষয় প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ধারনা করা হচ্ছে দুই থানার দুরত্ব থাকায় পুলিশি টহল কম থাকায় ওই এলাকায় জুয়া ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। ফলে সেখানকার যুব সমাজ ধংসের মুখে পরছে বলে জানা গেছে ।
এমত অবস্থায় পুলিশি টহল বারিয়ে দিলে হয়ত জুয়া ও মাদক ব্যবসা অনেকটা কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গতকাল সকাল নয়টার সময় সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বরিশালের ধুমচর-আমিরগঞ্জে এলাকায় চাঁচ নাগরিক নিরাপত্তা সংঘের পক্ষ থেকে একটি গন র্যালি করা হয়।
এসব র্যালি করে কতটা জুয়া ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকা বাসীর মাঝে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েক প্রভাবশালীরা মাদক ও জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে। যতদুর জানা গেছে , আমিরগঞ্জ বাজারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে রমরমা জুয়ার আসর। প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, জুয়াড়িরা প্রতিদিন ধুমচর গ্রাম ও ধুমচর বাহির থেকে মোটর সাইকেল ও সিএনজি যোগে আমিরগঞ্জ বাজার মাদক জুয়ার আসরে পৌঁছায়।
এদিকে কতিপয় স্থানীয় জুয়াড়ীরা জুয়ার টাকা জোগাড় করতে চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এলাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। ওই চক্র জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ধুমচর-আমিরগঞ্জে পৌছার আগেই কোন অপরিচিত বা প্রশাসনের লোক মনে হলেই মহলটি লোক জুয়ার আসর পরিচালককে সর্তক করে দেয়।
প্রশাসন নিরব থাকায় প্রভাবশালীরা রয়েছে অধরা। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সচেতন মহল। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক সুত্র জানায়, কেউ কেউ বউয়ের গহনা, মটরসাইকেল ও দামী আসবাবপত্র বন্ধক রেখেও জুয়া খেলে সর্বশান্ত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধুমচর গ্রামের এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে জুয়া খেলতে খেলতে সর্বশান্ত হয়েছে। বউয়ের গহনা পর্যন্ত বিক্রি করে জুয়া খেলেছে।
একটা মটরসাইকেল ছিল সেটাও বন্ধক রেখেছে। আমিরগঞ্জ বাজারের এক দোকানি বলেন, এই জুয়ার আসর বন্ধ না হলে অনেক পরিবারই সর্বশান্ত হয়ে যাবে। মাদকও জুয়া আসর বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। এবিষয় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
Leave a Reply